পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, পুলিশ বাহিনীকে জাগিয়ে তোলা, আস্থা ও মনোবল ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চাই মানুষের আরো কাছে যেতে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি (বিআরপিওয়া)’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাকাসহ সারাদেশে অপরাধ কমাতে পুলিশ কি ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, আপনারা দেখছেন আমরা কি কি ব্যবস্থা নিচ্ছি এসব অপরাধ কমাতে। সারাদেশের পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আপনারা জানেন কি অবস্থা এবং কোথা থেকে উঠে এসে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই মানুষ আমাদের আরেকটু সহযোগিতা করুক, গ্রহণ করুক। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের কাছেও সহযোগিতা আশা করছি। তারা যেন আমাদেরকে কমিউনিটির কাছে নিয়ে যেতে আরেকটু প্রচেষ্টা চালান। আমি মনে করি, এটা ছাড়া পুলিশ এককভাবে ক্রাইম (অপরাধ) বিরুদ্ধে লড়া সম্ভব নয়, তবে আমরা চেষ্টা করছি।
বিভিন্ন জেলার ছাত্র সমন্বয়কদের হত্যার হুমকির বিষয়ে প্রশ্নে আইজিপি বলেন, প্রতিটি ঘটনা অ্যানালাইস করেছি এবং সুরাহা করা হচ্ছে। কালিয়াকৈরের ঘটনা ছিনতাইয়ের। নারায়ণগঞ্জের ঘটনা মোবাইল ছিনতাইয়ের। ছাত্র সমন্বয়কদের নারায়ণগঞ্জ নিয়ে গিয়েছি। তারা দেখেছেন, ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তারাও সন্তুষ্ট। এটা টার্গেট কিলিং নয়। এছাড়া দুইটি হুমকি আছে। একটা ময়মনসিংহের। সেই স্কুল ছাত্রকে অ্যারেস্ট করা হয়েছিল। সে দশম শ্রেণির ছাত্র। আমরা তার বাবা-মায়ের জিম্মায় ফেরত দিয়েছি।
তিনি বলেন, ব্র্যাকের মেহের নামের একজন ছাত্রকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেটি সত্য। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ থেকে জাহিদ হাসান নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতিটি ঘটনার সুরাহার জন্য চেষ্টা করছি।