প্রকাশ: বুধবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:০২ এএম (ভিজিটর : )
যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলের পানির নিচে থাকা এক সক্রিয় আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। ওরিগন উপকূল থেকে ৩০০ মাইল দূরে অবস্থিত ‘এক্সিয়াল সিমাউন্ট’ নামের এই আগ্নেয়গিরি প্রায় আধা মাইল পানির নিচে অবস্থান করছে। গবেষকরা মনে করছেন, আগ্নেয়গিরিটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ অগ্ন্যুৎপাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, এক্সিয়াল সিমাউন্ট আগ্নেয়গিরির আশপাশে ভূমিকম্পের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক ছোট আকারের ভূমিকম্প ওই অঞ্চলে রেকর্ড করা হচ্ছে। একইসঙ্গে সমুদ্রের তলদেশের অস্বাভাবিকভাবে ফুলে ওঠাও অগ্ন্যুৎপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলেছে।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, আগ্নেয়গিরির চারপাশের সমুদ্রতল প্রায় ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত উঁচু হয়ে উঠেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ফুলে ওঠা প্রমাণ করে যে আগ্নেয়গিরিটির ভেতরে ম্যাগমা জমা হচ্ছে এবং চাপ তৈরি করছে। এটি কোনো সাধারণ ঘটনা নয়, বরং অগ্ন্যুৎপাতের এক সুস্পষ্ট পূর্বাভাস।
বিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেছেন, ২০২২ সালে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের টোঙ্গা দ্বীপপুঞ্জে হুঙ্গা নামে একটি ডুবো আগ্নেয়গিরিতে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল। সেই অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট সুনামি গোটা বিশ্বে তীব্র প্রভাব ফেলেছিল। প্রায় ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি সুনামির ঢেউ ক্যালিফোর্নিয়া, হাওয়াই, কানাডা, চিলি, ফিজি, জাপান, নিউজিল্যান্ড, মেক্সিকো এবং পেরু পর্যন্ত অনুভূত হয়।
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করছেন, এক্সিয়াল সিমাউন্টেও এমনই ভয়াবহ কোনো অগ্ন্যুৎপাত হলে তা পরিবেশ এবং অর্থনীতির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। আগ্নেয়গিরিটির বর্তমান পরিস্থিতি গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।