প্রকাশ: শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:১৮ এএম (ভিজিটর : )
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে মারধর করেছে শাখা ছাত্রদলের অনুসারীরা। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঐ নেতার নাম আপন ইসলাম মেঘ। তিনি ছাত্রলীগের উপ ক্রীড়া সম্পাদক ও ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিএফসির অনুসারী ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চবির কলা ঝুপড়ির পিছনে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ছাত্রলীগ নেতা মেঘ তার চতুর্থ বর্ষের মৌখিক পরীক্ষা শেষে কলা অনুষদ থেকে বেরিয়ে জারুলতলার সামনে আসলে তার গতিরোধ করে কলা ঝুপড়ির পিছনে নিয়ে মারধর করে ছাত্রদলের অনুসারীরা। মারধরের পর অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তাকর্মীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা মেঘকে মারধরকারী ছাত্রদলকর্মী প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রেদোয়ান নিজেকে একজন ভুক্তভোগী হিসেবে দাবি করে বলেন, ২০১৯ সালে ছাত্রলীগ নেতা মেঘ আমার মোবাইল চেক করে ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পেয়ে আমাকে গেস্ট রুমে নিয়ে মারধর করে। আমাকে মেরে এক পর্যায়ে হল থেকে বের করে দেয়। এ সময় তিনি নিজেকে শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি মামুনুর রশিদ মামুনের অনুসারী বলে পরিচয় দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঐ ছেলে রেদোয়ানকে মারধর করে হল থেকে বের করে দিয়েছিল। আজকে রেদোয়ান ঐ ছেলেকে দেখতে পেয়ে আমাকে ফোন করলে আমি ক্যাম্পাসে না থাকার কারণে আমাদের সেক্রেটারি নোমানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে বলি। শুধু আমার কর্মীরা না, ওই ঘটনায় শাখা ছাত্রদলের সব নেতার অনুসারীরাই ছিল।
তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগ হচ্ছে নিষিদ্ধ সংগঠন। এই নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে আমাদের কোনো আপোষ নাই। আমি শুনেছি প্রক্টরিয়াল বডি ঐ ছেলেকে সেইফ এক্সিট দিয়ে বের করে দিয়েছে। এর দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে।
তবে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করেছেন শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, আমরা জানার পর ওখানে কী হয়েছিল তা দেখতে গিয়েছিলাম। যে মেরেছে সে কার রাজনীতি করে তা আপনারা খোঁজ নিলে জানতে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যাকে মারা হয়েছে সে পরীক্ষা দিতে এসেছিল। একদল শিক্ষার্থী প্রতিশোধ নিতেই তাকে মেরেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। তাকে প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট দিয়ে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।