বাংলা উর্দু English
 বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১
বাংলা উর্দু English
বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
শিরোনাম: ছাত্র আন্দোলন দমাতে ব্যবহৃত গুলি-পিস্তলসহ আটক ২      ট্রাম্পের অভিষেকের আগে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করলো উ. কোরিয়া       অস্ট্রেলিয়ার সাগরপাড়ে রহস্যময় বস্তু, ৯টি সৈকত বন্ধ ঘোষণা      জুলাইয়ের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব: মির্জা ফখরুল       পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী’ শব্দ বাদ দিয়ে নতুন গ্রাফিতি যুক্ত হচ্ছে      নিহত আলিফের ভাইয়ের করা মামলায় জামিন পেলেন ৬৩ আইনজীবী      চলতি বছরেই জাতীয় নির্বাচন জরুরি, ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপি      
অর্থনীতি
গ্রামীণ ব্যাংকে মালিকানা কমাতে চায় সরকার
প্রকাশ: বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:০৫ পিএম  (ভিজিটর : )
গ্রামীণ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডিং ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে মালিকানা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে সরকার। সেই সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদে চেয়ারম্যানসহ তিনজন পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার সরকারি ক্ষমতা কমিয়ে সরকারের জন্য মাত্র একজন পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ রাখা হচ্ছে।


এসব পরিবর্তন বাস্তবায়নের জন্য সরকার এরই মধ্যে গ্রামীণ ব্যাংক আইন, ২০১৩ সংশোধনের একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে। খসড়াটি অংশীজনদের মতামত নেয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।


এ বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, খসড়াটি প্রণয়নের আগে বিভাগের পক্ষ থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের আইন উপদেষ্টাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।


তিনি বলেন, এ পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকে সরকারের অংশীদারিত্ব এবং বোর্ডের প্রতিনিধিত্বকে ২০১১ সালের আগের কাঠামোতে ফিরিয়ে আনা।


১৯৮৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী, গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের শেয়ার ছিল ২৫ শতাংশ। তবে পরবর্তী সরকারগুলো পরিশোধিত মূলধনে অবদান না রাখায় এ অংশীদারি ধীরে ধীরে ৫-৮ শতাংশে নেমে আসে বলে তিনি জানান। ২০১১ সালে মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণের সময় সরকার ২৫ শতাংশ শেয়ারহোল্ডিং পুনঃস্থাপনের জন্য মূলধন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিল।


তথ্যে দেখা যায়, গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ ১৯৮৩ অনুযায়ী, গ্রামীণ ব্যাংকের ২৫ শতাংশ মালিকানা সরকারের এবং বাকি ৭৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতাদের। তবে প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ঋণগ্রহীতাদের কাছে ব্যাংকের ৯৫ শতাংশ শেয়ার হস্তান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন খসড়া অনুযায়ী, ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হবে। ঋণগ্রহীতারা ধীরে ধীরে মূলধনে অবদান বাড়িয়ে ৯৫ শতাংশ মালিকানা অর্জন করবেন। বোর্ড ঘোষিত যেকোনো লভ্যাংশ মূলধনের ভিত্তিতে আনুপাতিকভাবে বিতরণ করা হবে।


শুরু থেকেই গ্রামীণ ব্যাংকের ১২ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদে চেয়ারম্যানসহ সরকারের মনোনীত তিনজন পরিচালক এবং ঋণগ্রহীতাদের নির্বাচিত নয়জন পরিচালক রয়েছেন। নতুন প্রস্তাবে ঋণগ্রহীতারা বোর্ডে ১১ জন পরিচালক নির্বাচনের সুযোগ পাবেন। বর্তমান আইনে বোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষমতা সরকারের হাতে রয়েছে। কিন্তু প্রস্তাবিত খসড়ায় চেয়ারম্যান নির্বাচন বোর্ডের সদস্যদের মধ্য থেকেই করার বিধান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।


বর্তমানে আইনে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে বা তিনি দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে, সরকার তার মনোনীত দুই পরিচালকের মধ্যে একজনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিতে পারে। প্রস্তাবিত খসড়ায় এ বিধানটি বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান অক্ষম হলে বোর্ডের সদস্যরা অন্য কোনো পরিচালককে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের অনুমোদন দিতে পারবেন।


আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ডে চেয়ারম্যান এবং তিনজন পরিচালক নিয়োগের ক্ষমতা সরকারের হাতে রয়েছে। তবে ড. ইউনূসের অপসারণের আগে সরকার সাধারণত কেবল চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষমতা ব্যবহার করত। তিনি বলেন, ২০১১ সালের পর থেকে সরকার চেয়ারম্যানের পাশাপাশি তিনজন পরিচালকও নিয়োগ দিতে শুরু করে।


বর্তমান আইনের অধীনে, গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সর্বোচ্চ ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে পারেন। প্রস্তাবিত খসড়ায় এ বিধান বহাল রাখা হয়েছে। তবে এতে নতুন একটি শর্ত যুক্ত করা হয়েছে বোর্ডের অনুমোদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৬৫ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে, যদি ব্যাংকের কার্যক্রমে তা প্রয়োজনীয় মনে হয়।


বর্তমান আইনে পরিচালকদের মেয়াদ তিন বছর নির্ধারিত রয়েছে এবং খসড়া অধ্যাদেশেও এটি অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। তবে নতুন একটি সংযোজন করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, নবনির্বাচিত পরিচালকেরা তাদের দায়িত্ব গ্রহণ না করার আগ পর্যন্ত নির্বাচিত পরিচালকেরা তাদের পদে থাকবেন।


এছাড়া বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন আঞ্চলিক অফিস খোলার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু খসড়া অধ্যাদেশে এ শর্তটি তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমান আইনে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জোবরা গ্রামে ড. ইউনূসের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের কোনো উল্লেখ নেই। তবে খসড়া অধ্যাদেশে আইনের ধারা ৪-এ একটি ব্যাখ্যা যুক্ত করে এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।


২০১১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। সরকার জানিয়েছিল, ড. ইউনূস পদের জন্য নির্ধারিত ৬০ বছরের বয়সসীমা অতিক্রম করেছেন। তিনি এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করলেও আদালত তা খারিজ করেন। ড. ইউনূসের পদত্যাগের পর ২০১৩ সালে সরকার গ্রামীণ ব্যাংক আইনে সংশোধনী আনে। তবে এ সংশোধনীতে ব্যাংকের মালিকানা ও পরিচালনা পর্ষদে সরকারের অংশীদারিত্ব বজায় রাখা হয়। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অর্থ মন্ত্রণালয় ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করে। এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাংকটিকে কর মওকুফের সুবিধাও দেয়।
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

মঈন খান ও আমির খসরুকে প্রধান করে বিএনপির দুই কমিটি
পাকিস্তানে নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে নিহত ২৭
শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল ও ইমন আইনের হাত থেকে রক্ষা পাবে না’
শীতে নারকেল তেল জমে যাচ্ছে? জেনে নিন টিপস
অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারিখ ঘোষণা করুন: রিজভী

সর্বাধিক পঠিত

পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় ট্রাম্পের সদিচ্ছাকে স্বাগত জানালো রাশিয়া
ফরিদপুরে ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৫
পুরানা পল্টনের ‘ল চেম্বার’ এর আগুন নিয়ন্ত্রণে
ভোটারদের একটি বার্তা দেবেন, এবার আগের মতো ভোট হবে না: সিইসি
পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী’ শব্দ বাদ দিয়ে নতুন গ্রাফিতি যুক্ত হচ্ছে

অর্থনীতি- এর আরো খবর

PRIVACY POLICY
TERMS OF USE
CAB ALL RIGHTS RESERVED
সম্পাদক: মো: লোকমান হোসেন রাজু
Editor: MD Lokman Hossain Raju
Telephone: +1 267 222 8618
Email: [email protected]
[email protected]
Address: 2540 Oxford Court(Ground Floor)
Hatfield, PA 19440
USA
ফলো করুন চ্যানেল আমেরিকা বাংলা - খবর
© ২০২৪ - ২০২৫ চ্যানেল আমেরিকা বাংলা কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
🔝