প্রকাশ: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:১৫ পিএম (ভিজিটর : )
আলোচনার মাধ্যমে দ্বন্দ্ব নিরসনে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) এ কথা বলেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে সংলাপে বসতে প্রস্তুত রয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের অভিষেকের পর বৈঠক আয়োজনের বিষয়ে অগ্রগতি হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার, পুতিনের সঙ্গে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। তবে নির্দিষ্ট দিন তারিখের ব্যাপারে কিছু জানাননি তিনি। ট্রাম্প বলেছেন, দ্রুতই ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান হওয়া দরকার। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিন আলোচনায় বসার আগ্রহ দেখিয়েছেন, আর সেটা প্রকাশ্যেই।
পেসকোভ বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনে ট্রাম্প নিজেও যথেষ্ট আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তার এই আগ্রহকে স্বাগত জানায় মস্কো।
বৈঠকের বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কোনও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিন মুখপাত্র। তবে উভয় পক্ষই বৈঠকে আগ্রহী ধরে নিয়ে সামনে আগাচ্ছে রাশিয়া। ওভাল অফিসের চেয়ারে ট্রাম্প বসার পর এ বিষয়ে কিছু অগ্রগতি দেখা যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত প্রত্যাবর্তনে ইউক্রেন সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে। তবে সে সম্ভাবনাতে ভরসা পাচ্ছে না ইউক্রেন। কিয়েভের আশঙ্কা, তড়িঘড়ি করে শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হলে ইউক্রেন চড়া মূল্য ভোগ করবে।
নির্বাচনি প্রচারণার সময় ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ তিনি ২৪ ঘণ্টায় সমাধান করতে পারবেন। তবে ইদানীং তিনি আর তার উপদেষ্টারা সুর কিছুটা পালটে বলছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে কয়েকমাস লাগতে পারে।
পেসকোভ বলেছেন, ট্রাম্পসহ অন্যান্য বৈশ্বিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বরাবরই আগ্রহী ছিলেন পুতিন। কেবল আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের পারস্পরিক রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া আলোচনার কোনও পূর্বশর্ত নেই।
ট্রাম্পের উপদেষ্টারা যুদ্ধ বন্ধের একটি সম্ভাব্য রূপরেখা দিয়েছেন। সে প্রস্তাবনা অনুযায়ী, সুদূর ভবিষ্যতের জন্য ইউক্রেনের বিশাল অংশ রাশিয়ার অধিকারে চলে যাবে।
পেসকোভ বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধের জন্য গত জুনে দেওয়া প্রস্তাবে এখনও অনড় রয়েছেন পুতিন। সেখানে দুটো শর্ত দিয়েছিলেন তিনি। কিয়েভকে পশ্চিমাদের সামরিক সংগঠন ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে এবং ইউক্রেনে ইতোমধ্যে অধিকৃত চারটি অঞ্চল রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দিতে হবে। এই প্রস্তাবকে আত্মসমর্পণের সদৃশ বলে প্রত্যাখান করেছে ইউক্রেন।