গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বশির উদ্দিনকে অফিসকক্ষ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগে গাজীপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রনিকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রনি উপজেলার আটাবহ ইউনিয়নের জালশোকা গ্রামের আজিবরের ছেলে।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দফতর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুঁইয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে গাজীপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রনিকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোনও অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
উল্লেখ্য, রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে বশির উদ্দিন ও প্রধান শিক্ষক আনন্দ কুমার গল্প করছিলেন। এ সময় গাজীপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রনির নেতৃত্বে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন আহমেদ, যুবদল কর্মী রাকিব হাসানসহ কয়েকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে প্রবেশ করেন। তারা ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষক বশির উদ্দিনকে জোর করে ধরে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে নিয়ে যান। সেখানে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। তখন জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রনিসহ তার ১৫-২০ জন সহযোগী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শিক্ষককে রক্ষা করতে গেলে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী রিজভী আহমেদ সজিবকেও মারধর করা হয়। পরে বিদ্যালয়ের দফতরিসহ স্থানীয়রা আহত দুজনকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। শিক্ষককে মারধরের ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এবং নিন্দার ঝড় ওঠে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয় চাপা ক্ষোভ। অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি তোলে সচেতন মহল।