প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:৫৪ পিএম (ভিজিটর : )
যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয়ই গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি সংক্রান্ত চুক্তির কৃতিত্ব দাবি করছেন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুটি ভিন্ন বক্তব্যে এ দাবি করেন তারা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
দীর্ঘ আলোচনার পর চুক্তি চূড়ান্তের খবর আসা মাত্রই তার কৃতিত্ব দাবি করে বসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজ মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে তিনি বলেছেন, গত নভেম্বরে রিপাবলিকানদের জয়ের কারণেই এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পাদন করা সম্ভব হয়েছে। কারণ বিশ্ববাসী বুঝতে পেরেছিল, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
চুক্তি সম্পাদনের জন্য ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক অভিষেক পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। নইলে সবার ওপর 'নরক নেমে আসবে' বলেও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
ওভাল অফিস থেকে জাতির উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষবারের মতো বক্তব্য দেন বাইডেন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, গত মে মাসে তিনি গাজা নিয়ে তিন দফা সম্বলিত একটি রূপরেখা প্রণয়ন করেন। তার আদলেই চূড়ান্ত চুক্তি সম্পন্ন হলো।
তিনি আরও বলেন, আমার প্রশাসনের মাধ্যমে চুক্তিটি চূড়ান্ত হলো। তবে এটি কার্যকরের মূল দায়িত্ব পড়বে ট্রাম্প প্রশাসনের কাঁধে। তাই হবু প্রশাসনকে সবকিছুতে ওয়াকিবহাল রাখার নির্দেশনা দিয়েছিলাম।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একজন তাকে প্রশ্ন করেন, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার জন্য ইতিহাসে কার নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে তিনি মনে করেন। এই প্রশ্নে মুচকি হেসে বাইডেন পাল্টা জিজ্ঞেস করেন, 'রসিকতা করছেন?'
সর্বশেষ দফার আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন ট্রাম্প প্রশাসনে মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত স্টিভ উইটকফ। চুক্তি চূড়ান্ত হওয়া পর্যন্ত শেষ ৯৬ ঘণ্টা দোহায় অবস্থান করেছেন তিনি।
চুক্তি সম্পাদনে উইটকফের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। বাইডেনের প্রতিনিধি ব্রেট ম্যাকগার্কের সঙ্গে মিলে কাজ করছিলেন তিনি।
বাইডেন বলেছেন, শেষ কয়েকদিন আমরা (ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিক) একজোট হয়ে কাজ করেছি।
চুক্তির সব ধারা এখনও বিস্তারিত জানাননি তিনি। তবে ইসরায়েলের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের জন্যও একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনার প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। বাইডেন বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের জন্য নিজেদের একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। ফলে ইসরায়েল এবং সৌদি আরবসহ অন্যান্য আরব রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের মাধ্যমে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা অর্জন সম্ভব হতে পারে।