প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:৪৮ পিএম (ভিজিটর : )
বিপিএলে হার দিয়ে শুরু করেছিল চিটাগং কিংস। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে সেই হারের শোধ তুললো তারা ঘরের মাঠে। বৃহস্পতিবার গ্রাহাম ক্লার্কের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে এই আসরে তৃতীয়বার দুইশ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজি। আগের দেখায় খুলনার দেওয়া ২০৪ রানের লক্ষ্যে নেমে হেরেছিল চিটাগং, এবার তারা ২০১ রানের টার্গেট দিয়ে ৪৫ রানে হারালো মেহেদী হাসান মিরাজের দলকে।
পাঁচ ম্যাচে টানা চতুর্থ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠলো চিটাগং। দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালকে হারিয়ে দুই নম্বরে ওঠা ফরচুন বরিশাল নামলো তিনে। বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান পয়েন্ট পেয়েছে। চিটাগং ও বরিশাল দুই দলই টেবিলের শীর্ষে থাকা রংপুর রাইডার্সের (১৪) চেয়ে ৬ পয়েন্ট পেছনে। টানা দুটি ম্যাচ জিতে বিপিএলে দারুণ শুরু করেছিল খুলনা, তারা হারলো টানা চার ম্যাচ। ছয় ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে তারা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় চিটাগং। ক্লার্কের সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ২০০ রান করে তারা। জবাবে খেলতে নেমে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে খুলনা। বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে স্কোর একশর আগেই ৫ ব্যাটারকে হারায় তারা।
সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে দারউইশ রাসুলের ব্যাট থেকে। এছাড়া মোহাম্মদ নওয়াজ (২৫), আফিফ হোসেন (২০) ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের (১৮) ভূমিকা ছিল বলার মতো।
এদিন খুলনার হয়ে বিপিএলে অভিষেক হয়েছিল গত আসরের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। কিন্তু এই অলরাউন্ডার শুরুতে বল হাতে ব্যর্থ হওয়ার পর ব্যাটিংয়েও হতাশ করেছেন। বিপিএলের অভিষেক দিনটি ভুলে যেতে চাইবেন তিনি। এক ওভারে চারটি ছয়ে ২৭ রান খরচের পর ২ রান করেছেন তিনি। ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানে থামে খুলনা।
চিটাগংয়ের বোলারদের মধ্যে আরাফাত সানি ২৫ রানে নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
শুরুটা ভালো হয়নি চিটাগংয়ের। শুরুতেই উসমান খানের উইকেট হারায় তারা। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে পারভেজ হোসেন ইমন ও ক্লার্ক মিলে গড়েন দলের হয়ে রেকর্ড ১২৮ রানের জুটি। পারভেজ ২৯ বলে চার ছয়ে ৩৯ রান করে আউট হতে জুটি ভাঙে তাদের। সঙ্গীকে হারালেও ক্লার্ক দারুণ ব্যাটিং চালিয়ে যান। তবে ৪৮ বলে সেঞ্চুরির পরপর সাজঘরের পথ ধরেন এই ব্যাটার। ৫০ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ১০১ রান করেন তিনি। ম্যাচসেরাও হয়েছেন ইংল্যান্ডের এই ডানহাতি ব্যাটার।
খুলনার হয়ে মোহাম্মদ নেওয়াজ ও সালমান ইরশাদ নেন তিনটি করে উইকেট। এছাড়া আবু হায়দার নেন একটি উইকেট।
ক্লার্কের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিতে একটি রেকর্ডে ভাগ বসালো এবারের বিপিএল। ২০১৯ সালের পর এক আসরে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ছয়টি শতকের দেখা মিললো।