আত্মঘাতী গোলে হারের শঙ্কা উড়িয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছয় ম্যাচের জয়খরা কাটালো। শেষ দিকে আমাদ দিয়ালো হ্যাটট্রিক করে দলকে তিন পয়েন্ট এনে দেন। চার ম্যাচ পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে জয়ের দেখা পেলো তারা। বৃহস্পতিবার সাউদাম্পটনের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩-১ গোলে জিতেছে ম্যানচেস্টার ক্লাব।
১৯৩৪ সালের পর প্রথমবার ঘরের মাঠে টানা চতুর্থ লিগ ম্যাচ হারের শঙ্কায় ছিল ম্যানইউ। প্রথমার্ধে যেন বল পায়ে রাখতেই হিমশিম খেতে হয়েছে তাদের। একমাসেরও বেশি সময় পর প্রথমবার লিগে শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়া আলেহান্দ্রো গারনাচো সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে মারেন।
গোলপোস্টের নিচে গোল বাঁচাতে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে ম্যানইউ কিপার আন্দ্রে ওনানাকে। ডাবল সেভে দলকে রক্ষা করেন তিনি। সাউদাম্পটনের টাইলার ডিবলিংকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর ফিরতি শট নেন ম্যাথিউস ফার্নান্দেস। ইউনাইটেড কিপার তাকে বাধা দেন।
অবশ্য প্রথমার্ধে রক্ষা হয়নি ম্যানইউর। কর্নার থেকে উড়ে আসা একটি বল দুর্ভাগ্যবশত উগার্তের গায়ে লেগে নিজেদের জালে জড়ায়।
বিরতিতে আরও সংগঠিত হয়ে মাঠে নামে ম্যানইউ। ভালো কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল তারা। কিন্তু আরেকটি হার চোখ রাঙাচ্ছিল।
তারপরই দিয়ালোর আবির্ভাব। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার সাত মিনিট আগে সমতা ফেরানো গোলে কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়া ছিল। তবে ৯০তম মিনিটে চমৎকার গোল করেন আইভরি কোস্টের ফরোয়ার্ড। ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের তৈরি করে দেওয়া বলে জাল কাঁপান তিনি। তারপর ইউনাইটেডের জার্সিতে প্রথমবার হ্যাটট্রিকের দেখা পান দিয়ালো। ম্যানইউর হয়ে ২২ বছর বয়সীর চেয়ে কম বয়সে প্রিমিয়ার লিগে হ্যাটট্রিক করেছেন শুধু ওয়েন রুনি (২১)। তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে লিগে শেষ ১০ মিনিটে হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েছেন দিয়ালো।
সব প্রতিযোগিতা মিলে সাত ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে প্রথম জয় পেলো ম্যানইউ। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে এই জয়ে ২১ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে ১২তম তারা।