প্রকাশ: শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:৩৭ এএম (ভিজিটর : )
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের এক গৃহবধূ যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা করতে গেলে দুই সপ্তাহ ধরে টালবাহানা করছিলেন রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী। অবশেষে উপায় না দেখে ওই নারী পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি)। এরপর ওই দিন রাতেই অভিযুক্ত মনিরকে (৩৫) গ্রেফতার বৃহস্পতিবার যৌন হয়রানির মামলা নিয়ে আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
রাজধানীর পুলিশ সদরদফতরে বুধবার ওই নারী আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেলে ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। অভিযোগকারী নারী জানান, বর্তমানে তিনি ওই বখাটে যুবক ও মাদক ব্যবসায়ীর ভয়ে সোনারগাঁয়ে তার বাবার বাড়িতে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
আইজিপির কার্যালয়ে করা অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি বিয়ের পর থেকে রূপগঞ্জের তারাব পৌর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করে আসছেন। তার স্বামী ও বড় ছেলে সৌদি প্রবাসী। তিনি তার ছোট দুই সন্তান নিয়ে রূপগঞ্জে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। গত ২৯ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১১টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে এই সুযোগে আগে থেকে ওতপেতে থাকা মনির (৩৫) মুখ চেপে ধরে যৌন হয়রানি করে। এ সময় বাধা দিলে তাকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাড়া দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
তখন তিনি ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলে রূপগঞ্জ থানা থেকে দুই জন পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে গত ১৫ দিন ধরে নিবো-নিচ্ছি বলে গড়িমসি করে আসছিলেন রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী।
অন্যদিকে, মাদক ব্যবসায়ী মনির তাকে হুমকি দিয়ে বলে, এসব মামলা করে আমার কিছুই করতে পারবে না। ওসির মুখ আমি মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে বন্ধ করে রেখেছি। যদি প্রাণে বাঁচতে চাও, তাহলে থানায় করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেও।
এমতাবস্থায় তিনি নিজের এবং সন্তানদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এবং রূপগঞ্জ থানার ওসির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন আইজিপিকে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, আসামি মনিরকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।