প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:০১ পিএম (ভিজিটর : )
মানহানির অভিযোগে করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত তাপসী তাবাসসুম উর্মির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করায় এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা বলেছেন উর্মির আইনজীবী পিএম মাহাদী হাসান।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সামনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এ মামলার চার্জ গঠনের বিষয়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। এ বিষয়ে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।
আইনজীবী পিএম মাহাদী হাসান আরও বলেন, সেই সময়ে পারিপার্শ্বিক ঘটনা সম্পর্কে ফেসবুক পোস্ট অনুযায়ী নিজস্ব অভিমত প্রকাশ করেছেন। সেই পোস্টে বাদীর সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কিত নয়। দন্ডবিধির ৪৯৯/৫০০/৫০১ ধারার বিধানে মানহানির ক্ষেত্রে যেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে সেই ব্যক্তি নিজে এবং মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে তার বাবা, মা অথবা নিকটাত্মীয়রা এই মানহানির মামলা করতে পারেন। এই মামলার বাদী শহিদ আবু সাইদের বা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের রক্ত সম্পর্কিত কেউ নন। বাদীর দায়েরকৃত অভিযোগ করার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই বিধায় আসামি অব্যাহতি পাওয়ার অধিকার রাখেন। আমরা এ চার্জ গঠনের আদেশে সংক্ষুব্ধ, এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো।
অভিযোগ গঠনের বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম বলেন, আসামি ইচ্ছাকৃতভাবে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই ফেসবুকে এই মানহানিকর পোস্ট দিয়েছেন। এ মামলার বাদী সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে অংশ নেন ও ১১ দিন জেল-হাজতে ছিলেন। এ মামলার আসামি কোনও রাজনৈতিক দলেরও কেউ নন। তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা। এ আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য তিনি এ ধরনের মন্তব্য করেছেন। তাই এই মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে আইনগত বাধা ছিল না। সেজন্য বাদী মামলা করেন। আদালত সেটি আমলে নিয়ে ৫০০ ধারায় চার্জগঠন করেন।
মামলার বাদী ও গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর কমিটির সদস্য আবু হানিফ বলেন, মামলার আসামি আবু সাঈদকে বিশৃঙ্খলাকারী হিসেবে অবহিত করেছেন। আবু সাঈদ যদি বিশৃঙ্খলাকারী হন, তাহলে আমরা সবাই বিশৃঙ্খলাকারী। সেজন্য আমি এ মামলা করেছি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ অক্টোবর তাপসী তাবাসসুম ফেসবুকে একটা পোস্ট দেন। সেখানে তিনি আবু সাঈদ, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন।