প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:১২ পিএম (ভিজিটর : )
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করার পর দ্রুত পাল্টা ব্যবস্থা নিলো চীন। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয়, তারা মার্কিন কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ওপর ১৫ শতাংশ এবং অপরিশোধিত তেল, কৃষি যন্ত্রপাতি ও কিছু গাড়ির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে। এই শুল্ক ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
চীন আরও জানিয়েছে, তারা গুগলের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট ইনকর্পোরেটেডের বিরুদ্ধে একটি অ্যান্টি-মনোপলি তদন্ত শুরু করছে। এছাড়া ক্যালভিন ক্লেইনের মূল কোম্পানি পিভিএইচ কর্প এবং মার্কিন বায়োটেক প্রতিষ্ঠান ইলুমিনাকে ‘অবিশ্বস্ত সংস্থার তালিকা’তে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
এছাড়া চীন ঘোষণা করেছে, তারা টংস্টেন, টেলুরিয়াম, রুথেনিয়াম, মলিবডেনাম ও রুথেনিয়াম-সম্পর্কিত পণ্যের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করবে, যা তারা জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে করছে। চীন এই গুরুত্বপূর্ণ দুর্লভ খনিজ উপাদানের বৈশ্বিক সরবরাহের একটি বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে, যা পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উন্নয়নে অপরিহার্য।
মেক্সিকো ও কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ শেষ মুহূর্তে স্থগিত করেছেন ট্রাম্প। সীমান্ত ও অপরাধ দমনে কিছু ছাড় পাওয়ার শর্তে ৩০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত করেছেন তিনি। তবে চীনের ক্ষেত্রে কোনও ছাড় নেই।
কারণ ট্রাম্পের দাবি, বেইজিং মাদক পাচার বিশেষ করে ফেন্টানিল প্রবাহ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
চীনের পাল্টা শুল্ক ঘোষণার পর হংকং শেয়ারবাজারে উত্থান কিছুটা কমে গেছে, ডলার শক্তিশালী হয়েছে এবং চীনা ইউয়ান দুর্বল হয়েছে, যা অস্ট্রেলিয়ান ডলারকেও প্রভাবিত করেছে।
বিশ্লেষক গ্যারি এনজি বলেন, ‘মেক্সিকো ও কানাডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি সম্ভব হলেও চীনের ক্ষেত্রে বিষয়টি জটিল। এমনকি যদি দুই দেশ কিছু বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছায়, তবুও শুল্ক নীতিকে পুনরায় ব্যবহার করা হতে পারে,যা এই বছর বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে।’