প্রকাশ: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:৪৫ পিএম (ভিজিটর : )
বিপিএলে খুলনা টাইগার্স এবং চিটাগং কিংসের দুই দলই প্লে-অফে উঠেছে কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে। খুলনা টানা তিন জয়ে ফাইনালের আরও কাছে যাওয়ার পথে দু’বার রংপুর রাইডার্সকে হারিয়েছে। খুলনার বেলাতেও তাই। টানা ম্যাচ জিতে সমীকরণ মিলিয়েছে তারা। তাদের এই সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে কোচ তালহা জুবায়ের আর অধিনায়ক মিরাজের। সবমিলিয়ে দুটি দলই দারুণ ক্রিকেট খেলে এতদূর এসেছে। ফাইনালের টিকিটের জন্য এখন দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে একটি জয় প্রয়োজন তাদের। আজ (বুধবার) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হবে খুলনা-চিটাগং দ্বৈরথ। যারা জিতবে তারা আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির ফাইনালে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে শিরোপার জন্য লড়বে।
খুলনার কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি এ নিয়ে দশমবার বিপিএল আসরে খেলছে। এর আগে চারবার খুলনা প্লে-অফ খেলে ফাইনালে উঠতে পেরেছে মাত্র একবার। ২০২০ সালের বিপিএল ফাইনালে রাজশাহীর কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েছে তারা। এবার খুলনার জন্য সুযোগ আরেকবার ফাইনালে ওঠার। অন্যদিকে চিটাগং ২০১৩ সালের পর কখনোই ফাইনালে উঠতে পারেনি। সেবার রানার্সআপ হয়েছে। এছাড়া আরও পাঁচ বার প্লে-অফ খেলে বিদায় নিয়েছে চট্টগ্রামের দলটি। গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের আগে খুলনা ভালো মানের দুইজন বিদেশি ক্রিকেটার আনলেও চিটাগং কোনও বিদেশি আনেনি।
চিটাগং দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত ওরকম কোনও পরিকল্পনা নেই। আমরা ওটাতে (বড় নাম) বিশ্বাসীও নই। শুধু বড় নাম হলেই হয় না। যদি দেখেন যারা খেলেছে, পুরো টুর্নামেন্ট খেলেছে। এই কন্ডিশনের সঙ্গে ওদের অ্যাডজাস্ট হয়ে গেছে। আমরা ওইটা বিশ্বাস করি না যে, একটা বড় নাম আনলেই ডেলিভারি করে দেবে। ও তো না-ও করতে পারে।’
নতুন কারও ওপর আস্থা না রেখে খাজা নাফে, গ্রাহাম ক্লার্ক, বিনুরা ফার্নান্দো আর হায়দার আলীদের ওপরই ভরসা শন টেইটের দলের। তবে চিটাগং কিংসের তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারেন শামীম হোসেন। প্রথম কোয়ালিফায়ারে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৪৭ বলে ৭৯ রানের একটা ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি, কারণ অন্যরা ভালো না করায় দলীয় সংগ্রহটা বড় হয়নি। অধিনায়ক মিঠুন বা গ্রাহাম ক্লার্ক কেউ একজন একপ্রান্তে সঙ্গ দিতে পারলে শামীমের ব্যাটই পারবে চিটাগংকে ফাইনালে তুলতে।
এদিকে, খুলনার স্থানীয় ক্রিকেটাররাও দারুণ ছন্দে আছেন। এই আসরে নিজেকে নতুন করে চিনিয়েছেন এই বাঁহাতি এই ব্যাটার। পাশাপাশি অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ নিজেই নেমে যাচ্ছেন ইনিংসের গোড়াপত্তনে। সেখানে মোটামুটি সফলই বলা যায় তাকে। কোন কারণে টপ অর্ডার ব্যর্থ হলে শেষ দিকে সামাল দেওয়ার জন্য শিমরন হেটমায়ার আর জেসন হোল্ডার আছেন। মোহাম্মদ নওয়াজও ব্যাট হাতে কার্যকর। এদের সঙ্গে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও আছেন। বোলিংয়ে খুলনার শক্তি দুর্দান্ত।
প্লে-অফের প্রথম দুটো ম্যাচ হয়েছে একদম একপেশে। ভক্তদের প্রত্যাশা ফাইনালের আগে একটা রোমাঞ্চকর লড়াই দেখার। তাতে করে ফাইনালটা হয়ে উঠবে আরও রোমাঞ্চকর। লিগ পর্বে দুই দলের মুখোমুখি ফল হিসাব করলে স্কোরলাইন ১-১। কাউকে এগিয়ে-পিছিয়ে রাখা যাচ্ছে না। ওই হিসেবে মিরপুরে জমজমাট এক লড়াই আশা করাই যায়!