প্রকাশ: শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৩৩ পিএম (ভিজিটর : )
বৈশ্বিক বাণিজ্য কাঠামো যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আনতে আবারও শুল্কারোপের হুমকি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) তিনি বলেছেন, সামনের সোমবার বা মঙ্গলবার একাধিক দেশের ওপর সমতার ভিত্তিতে শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে আগামী সপ্তাহে আমি নতুন বাণিজ্য নীতি ঘোষণা করব। আমরা প্রাপ্যের চেয়ে একটুও কম বা বেশি চাই না।
তার শুল্কের খড়গের নিচে কোন দেশগুলো পড়তে পারে, সে নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি ট্রাম্প। তবে এই পরিকল্পনার পরিসর অত্যন্ত ব্যাপক এবং মার্কিন বাজেট ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
নির্বাচনি প্রচারণা চলাকালে অন্যান্য দেশ মার্কিন পণ্যের ওপর যতটা শুল্ক বসায়, তার সঙ্গে তাল মিলিয়েই অন্যদের ওপরও শুল্ক আরোপের অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। তার সাম্প্রতিক পরিকল্পনা সেই অঙ্গীকারেরই অংশ।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এই ঘোষণা দেন। ট্রাম্প জানান, আমদানি করা গাড়ির ওপর শুল্ক আরোপের বিষয়টি এখনও বিবেচনায় রয়েছে, যদিও হোয়াইট হাউজ কিছু দেশের জন্য শুল্ক ছাড়ের বিষয়ে ভাবছে বলে জানা গেছে।
দীর্ঘদিন ধরে ট্রাম্পের অভিযোগ, গাড়ি আমদানিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেও যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি হার মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশ। তিনি প্রায়ই বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি আমদানিতে ইউরোপের অনীহা থাকলেও প্রতি বছর লাখ লাখ ইউরোপীয় গাড়ি মার্কিন বাজারে প্রবেশ করছে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গড় শুল্ক হার ২ দশমিক ২ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে, ভারতে এটি ১২, ব্রাজিলে ৬ দশমিক ৭, ভিয়েতনামে ৫ দশমিক ১ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ক্ষেত্রে ২ দশমিক ৭ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজে বাজেট আলোচনার সময় রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের নতুন পরিকল্পনার বিষয়ে ট্রাম্প অভিহিত করেছেন বলে রয়টার্সকে তিন ব্যক্তি জানিয়েছেন। ট্রাম্প ও তার উপদেষ্টাদের দাবি, আমদানির ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের মাধ্যমে ২০১৭ সালে ঘোষিত কর ছাড় সম্প্রসারণের তহবিল সংগ্রহ করা হবে। স্বাধীন বাজেট বিশ্লেষকরা বলছেন, এই কর ছাড়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেতে পারে।