প্রকাশ: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫, ১:৩২ পিএম (ভিজিটর : )
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার মোস্তফা আসিফ কতৃক পোশাক নিয়ে হেনস্তার শিকার হওয়া ঢাবির সেই শিক্ষার্থী দেশের বিচার ব্যবস্থা ও পুলিশ তার সেন্সিটিভ ইনফরমেশন পাবলিক করায় সোশ্যাল মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এজাহারে উল্লেখ থাকা ব্যক্তিগত তথ্যাদি থানা থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি রেপ ও ডেথ থ্রেটের মুখোমুখি হচ্ছেন বলে ফেসবুকে জানান।
হেনস্থার শিকার ওই শিক্ষার্থী লেখেন, ‘আমার সেন্সিটিভ ইনফরমেশন পুলিশ পাবলিক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসা করায় বলেছে, এজহার কপি নাকি পাবলিক করা যায়। তাহলে এজহার কপিতে এত ইনফরমেশন তারা কেনও রাখেন? এগুলা অন্য আরেক জায়গায় রাখুক। আর এই বিষয়টা আমাকে শুরুতেই তারা কেনও বলে দেয় নি? তাহলে আমি মামলা করতাম না। অসংখ্য নাম্বার থেকে রেপ আর ডেথ থ্রেট দেওয়া হয়েছে। কেনও? প্রতিবাদ করেছি তাই। আপনারা তো ফ্যাসিস্ট হাসিনার চেয়ে খারাপ। আপনারা তো দেশকে নরক বানাবেন।’
দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন তুলে হেনস্থার শিকার ঢাবি ছাত্রী লেখেন, ‘ইন্টেরিম গভমেন্টকে বলছি, দেশের বিচার ব্যবস্থা কবে পরিবর্তন করবেন? কবে আসবে আপনাদের সংস্কার? যদি না করতে পারেন দায়িত্ব ছেড়ে দেন। কিছু মানুষ গিয়ে থানায় মব করবে তাও এমন একজনের বিরুদ্ধে যে নিজের দোষ স্বীকার করেছে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। বাহ্ পুলিশ বাহ্। এই ঘটনা এইটাই প্রমাণ করে, দেশে অপরাধ করে, ইভটিজিং করে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ানো যাবে। ভিকটিম স্টেপ নিলেও উল্টো তাকে হয়রানি করা হবে।’
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রত্যেকদিন আন্দোলনে যাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘ফ্রন্ট লাইনার ছিলাম না। কিন্তু রেগুলার আন্দোলনে যাওয়া ছিল আমার রুটিন। তিনি আরও বলেন, কেনও যেতাম আন্দোলনে জানেন? আমি বিসিএস দিবো না, শুধু মাত্র দাবিটা যৌক্তিক তাই যেতাম।’
তৌহিদী জনতার ওপর অক্ষেপ নিয়ে স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘যারা নিজেকে তৌহিদী জনতা বলে থাকেন, ৫ আগস্টের পর নিজের ধর্মীয় লেবাসে বের হতেন আমি নিজে এই বিষয়টাতে কতটা খুশি হতাম। ভাবতাম যাক সবাই ব্যক্তি স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। মানুষগুলার ওপর গত ১৬ বছর ধরে জুলুম হয়েছে। আর দেখেন আমি যখন আমার দেশীয় পোশাক পরে রাস্তায় হাটি তখন আপনারা আমার শরীরের সাইজ মাপেন।’
দেশ নিয়ে আর কোনও আশা নেই উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘আমাদের আন্দোলন করা ভুল হয়েছে। এতগুলো মানুষ এমনেই মারা গেছেন। পারবেন তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে? ভেবেছিলাম দেশে থাকবো। বিদেশ এ যাবো উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে একদিন এই দেশের জন্য কিছু করবো। কিন্তু বিশ্বাস করেন এখন এই দেশ থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চলে গেলেই বাঁচি।’