প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ৬:৩৬ পিএম (ভিজিটর : )
বৈধ ভিসা থাকার পরও তুর্কমেনিস্তানে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত কে কে ওয়াগানকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তাকে লস অ্যাঞ্জেলেস বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনাকে কূটনৈতিক মহলে বিরল ও অস্বাভাবিক বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, রাষ্ট্রদূত কে কে ওয়াগানকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো করা হয়েছে। তার ভিসা সংক্রান্ত একটি সমস্যার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর কী প্রভাব পড়ে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বলে জানা গেছে।
সূত্রগুলো জানায়, বৈধ মার্কিন ভিসা ও সব প্রয়োজনীয় ভ্রমণ নথি থাকা সত্ত্বেও লস অ্যাঞ্জেলেসে ব্যক্তিগত সফরে যাওয়ার সময় রাষ্ট্রদূত ওয়াগানকে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ আটকায়। পরে তাকে শেষ গন্তব্য থেকে ফেরত পাঠানো হয়। এ ঘটনায় কূটনৈতিক প্রটোকল ও সিদ্ধান্তের ধরন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানায়, রাষ্ট্রদূত ওয়াগান ব্যক্তিগত সফরে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রদূতের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে কোনও ধরনের অনুমান বা ধারণা থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে।
এর আগে সূত্রের বরাতে জানানো হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ব্যবস্থা ওয়াগানের ভিসা সংক্রান্ত বিতর্কিত রেফারেন্স চিহ্নিত করায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়। তবে মার্কিন কর্তৃপক্ষের কী ধরনের উদ্বেগের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
কে কে ওয়াগান পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অভিজ্ঞ কূটনীতিক। তিনি নেপালের কাঠমান্ডুতে পাকিস্তান দূতাবাসে দ্বিতীয় সচিব, লস অ্যাঞ্জেলেসে পাকিস্তান কনস্যুলেট জেনারেলের ডেপুটি কনসাল জেনারেল, ওমানে পাকিস্তান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন/কাউন্সেলর ও রাষ্ট্রদূত, নাইজারের নিয়ামেতে পাকিস্তান দূতাবাসের মিনিস্টার/চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স/হেড অব মিশন এবং ইসলামাবাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ওভারসিজ পাকিস্তানিস, কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্স ও ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের ডিরেক্টর জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় ওয়াগানকে ইসলামাবাদে ফেরত এনে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বলা হতে পারে বলে সূত্রে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে পাকিস্তানের শীর্ষ কূটনৈতিক নেতৃত্বকে এ ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার ও পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালোচকে এ বিষয়ে ব্রিফ করা হয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লস অ্যাঞ্জেলেসে নিজেদের কনস্যুলেটকে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।