প্রকাশ: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৯:৪২ এএম (ভিজিটর : )
রাতের আঁধারে বিএসএফের গুলিতে নিহত আল আমিনের লাশ ফেরত দিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত ৯টার পর জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি সীমান্তের জিরো পয়েন্ট দিয়ে তার লাশ ফেরত দেওয়া হয়।
বিএসএফ ও বিজিবির উপস্থিতিতে ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার কোতয়ালি থানার পুলিশ, বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি ইমিগ্রেশন পুলিশ আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে তার লাশ তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেন। রাতেই পুলিশ তার লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত আল আমিনের লাশ ফেরত আনার জন্য কূটনৈতিক যোগাযোগ ও একাধিক পতাকা বৈঠক করা হয়। এরপর আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তেঁতুলিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নরেশ চন্দ্র দাস বলেন, ‘বিএসএফ রাতে লাশ ফেরত দিয়েছে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে আল আমিনের বড় ভাই মোস্তফা কামালের কাছে লাশ হস্তান্তর করি।’
সরেজমিন রাতে আল আমিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, আল আমিনের লাশ পৌঁছার পর পরিবারের সদস্য আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী কান্নায় ভেঙে পড়েন। লাশ আসার খবর পেয়ে শত শত উৎসুক জনতা তার বাড়িতে ভিড় জমান। বুধবার (১২ মার্চ) সকালে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে তার বড় ভাই মোস্তফা কামাল।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ নীলফামারী ৫৬ বিজিবির ভিতরগড় বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিপরীত ভারতের ৪৬ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ ভাটপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচারের সময় উভয় দেশের ১৫-২০ জন গরু চোরাকারবারির সঙ্গে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যদের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে বিএসএফ গুলি করলে আল আমিন ঘটনাস্থলে নিহত হয়। তার বাড়ি জেলার সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের জিন্নাতপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে।