প্রকাশ: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১:৫৮ পিএম (ভিজিটর : )
যুক্তরাষ্ট্রের চোখ রাঙানির ভয়ে আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি নয় ইরান। এতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হয়ে যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন, তেহরান তাতে ভ্রুক্ষেপও করবে না। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) এসব কথা বলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
পেজেশকিয়ানকে উদ্ধৃত করে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্র আমাদেরকে আদেশ দেয়, এমনকি অনেক ক্ষেত্রে শাসায়। এটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনাও করব না। এতে তারা যা ইচ্ছা হয় করুক।
শনিবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছিলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে জবরদস্তি আলোচনা মেনে নেবে না তেহরান। নতুন পারমাণবিক চুক্তি করার জন্য ইরানকে চিঠি দেওয়া নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে ওই কথা বলেছিলেন তিনি।
এদিকে, ইরানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে দ্বার উন্মুক্ত রাখলেও প্রথম মেয়াদের মতো সর্বোচ্চ চাপে রাখার নীতি চালু করেছেন ট্রাম্প। এই নীতি প্রয়োগ করে বিশ্ব অর্থনীতি থেকে তেহরানকে সম্পূর্ণ একঘরে করে রেখে তাদের তেল রফতানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, ইরান যেন পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করার কেবল দুটো পদ্ধতি আছে। হয় সামরিক হস্তক্ষেপ করা হবে নচেৎ চুক্তি করতে হবে।
এদিকে, ইরান বরাবরই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির আকাঙ্ক্ষার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তবে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, তেহরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত উন্নীত করেছে। পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য এই মান ৯০ শতাংশ থাকা প্রয়োজন হয়। সংশ্লিষ্টরা সতর্ক করে বলেছেন, এই মাত্রা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, আগের মেয়াদে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি বাতিল করেন ট্রাম্প। ২০১৫ সালে ইরান ও ছয়টি বৃহৎ শক্তির মধ্যে স্বাক্ষরিত জেসিপিওএ চুক্তিটি ২০১৯ সালে বাতিল করে তেহরানের ওপর একগাদা নিষেধাজ্ঞা দেন ট্রাম্প।