মার্কিন অর্থনীতি পুনর্গঠন যাত্রায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডকে খামখেয়ালিপূর্ণ দেশটির অধিকাংশ জনগণ। বুধবার (১২ মার্চ) শেষ হওয়া রয়টার্স/ ইপসোস পরিচালিত এক জরিপে এসব তথ্য উঠে আসে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর প্রেসিডেন্টের শুল্ক নীতির কারণে শেয়ার বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী প্রায় ৫৭ শতাংশ মানুষ মনে করেন, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপকে ঘিরে বাণিজ্য যুদ্ধ সূচনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মার্কিনিরা বরং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সামলানোতে ট্রাম্পের পদক্ষেপ দেখতে আগ্রহী। যদিও অধিকাংশের আশঙ্কা, ট্রাম্পের চলমান নীতির কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়বে বৈ কমবে না।
কানাডা ও মেক্সিকোর মতো মিত্রের ওপর শুল্ক আরোপের কারণে মার্কিন বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এছাড়া, মন্দার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এরপরও হোয়াইট হাউজ বলছে, ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি বাস্তবায়নের জন্য সাময়িক কিছু কষ্ট সহ্য করার প্রয়োজন হতে পারে। তিনি সফল হলে মার্কিন উৎপাদন খাত আবার চাঙা হবে বলে দাবি করছে কর্তৃপক্ষ।
জরিপে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৪ শতাংশ মানুষ সন্তুষ্ট। তবে জীবনযাত্রার ব্যয় সামলানোর ক্ষেত্রে তার প্রতি কেবল ৩২ শতাংশ জনগণের সমর্থন রয়েছে।
প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ মনে করেন, উচ্চ শুল্ক আরোপ নীতির কারণে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে।
আবাসন খাত ব্যবসায়ী ট্রাম্প সবসময়ই শেয়ার বাজারকে দেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের মাপকাঠি বলে উল্লেখ করে আসছেন। তবে এবার ক্ষমতায় আসার পর থেকে আর্থিক বাজার নিয়ে তাকে কিছুটা উদাসীন দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেছেন, বাজারে উত্থান-পতন চলবে। কিন্তু দেশটা তো আমাদের পুনর্গঠন করতে হবে।
জরিপে দেখা গেছে, মার্কিনিদের জন্য মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়। ৬০ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, এটি ট্রাম্পের প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত, যা প্রশাসনিক আকার হ্রাস, অভিবাসন নীতি এবং অপরাধ দমন সংক্রান্ত অন্যান্য ইস্যুর চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে তারা মনে করেন।
এদিকে, জরিপের ফল প্রকাশ হওয়ার পর হোয়াইট হাউজের এক মুখপাত্র সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বাজারের বর্তমান অবস্থা কেবল মুহূর্তের একটি স্থিরচিত্র। আমাদের সামনে ভালো-খারাপ দুরকম সময়ই পার করতে হবে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতির কারণে শেষ পর্যন্ত সবাই লাভবান হবে।