প্রকাশ: বুধবার, ২ এপ্রিল, ২০২৫, ১:০৫ পিএম (ভিজিটর : )
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার (২ এপ্রিল) নতুনভাবে শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছেন বলে হোয়াইট হাউজের তরফ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে এবারের শুল্কের আকার ও ব্যপ্তি নিয়ে নিশ্চিত কোনও তথ্য তারা দিতে পারেনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
কয়েকসপ্তাহ ধরেই ট্রাম্প বলে আসছিলেন, এপ্রিলের ২ তারিখ বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থার খোলনলচে নাটকীয়ভাবে পালটে দেওয়ার মতো শুল্ক আরোপ করবেন তিনি। দিনটিকে স্বাধীনতা দিবস বলেও একাধিকবার উল্লেখ করেছেন তিনি। স্থানীয় সময় বিকাল চারটার সময় হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেন থেকে এই ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে।
হোয়াইট হাউজ মুখপাত্র ক্যারোলিন লিয়াভিট বলেছেন, যেসব দেশ মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে, ট্রাম্পের ঘোষণার পরই তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ক কার্যকর হবে। এছাড়া, ২৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারিত হবে আমদানি করা গাড়ির ওপর, যা ৩ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের জানিয়েছেন, ট্রাম্প যে পাল্টা শুল্ক ঘোষণা করতে যাচ্ছেন, তা হবে সংশ্লিষ্ট দেশের জন্য সর্বোচ্চ সীমা। তবে প্রশাসনের চাহিদা পূরণ করলে শুল্কের হার কমতে পারে।
এর আগেও ট্রাম্প অ্যালুমিনিয়াম ও ইস্পাত আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন এবং চীনের সব পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করেছেন। তবে তিনি একাধিকবার নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে পরে তা বাতিল বা স্থগিত করেছেন।
তবে লিয়াভিটের বক্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে, এবার শুল্ক বিষয়ের একটা দফারফা করে ছাড়বেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, কয়েক দশক কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পরামর্শক প্রেসিডেন্টের দলে আছেন। আমরা আমেরিকার স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শুল্ক আরোপের বিষয়ে ট্রাম্প বলছেন, বিগত কয়েক দশকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিগুলো আমেরিকার শ্রমিক ও উৎপাদকদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এগুলো বৈশ্বিক বাজারে শুল্ক কমিয়ে আমদানির বিস্তার ঘটিয়েছে, যার ফলে মার্কিন আমদানি বাজার তিন ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। তবে এর নেতিবাচক দিক হিসেবে ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তবে অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, উচ্চ শুল্ক আরোপের ফলে দেশি-বিদেশি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ইয়েল ইউনিভার্সিটির বাজেট ল্যাবের হিসাব অনুযায়ী, বিদ্যমান শুল্কের ওপর আরও ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হলে, সাধারণ একটি মার্কিন পরিবারের বার্ষিক ব্যয় প্রায় সাড়ে তিন হাজার ডলার বৃদ্ধি পাবে।